লামায় ৩০ উপজাতি শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে ভর্তি না করানোর অভিযোগ

 উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে চিউবতলী এন.আই চৌং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজাতি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জন-প্রতিনিধিসহ একাধিকবার উপজাতি ছেলে- মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের হস্তক্ষেপ চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিযেছে অভিভাবকরা। ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে না পেরে ৪টি উপজাতি পল্লির (পাড়ার) প্রায় ৩০ শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবনের ইতি টানতে হচ্ছে বলেও প্রতিমন্ত্রীকে দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন তারা।
জানা গেছে, সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে নিতে ষষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণিকে প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে ঘোষণা করে। তার ধারাবহিকতায় চলতি বছর লামায় প্রথম পর্যায়ে ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। তেমনি একটি বিদ্যালয় চিউবতলী এন.আই চৌং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বছর এই বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৩৮ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। ওই এলাকার কোনো উপজাতি শিক্ষার্র্থীকে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের আওতাধিন এলাকায় রয়েছে পোলাই মার্মা পাড়া, ভাজা মার্মা পাড়া, ধর্মচরণ ত্রিপুরা পাড়া ও নাজিরাম ত্রিপুরা। এই ৪টি উপজাতি পাড়ার ছেলে-মেয়েদের একমাত্র ভরসা এই বিদ্যারয়টি। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা উপজাতি অযুহাতে তাদের ছেলে-মেয়েকে বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেননি বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে জানাতে চাইলে বিদ্যারয়ের প্রধান শিক্ষক খাঁন আবুয়াল হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে আমি ৩৮জনকে ভর্তি করেছি। আর কোটা নেই। তবে এই ৩৮জনের মধ্যে একজনও উপজাতি শিক্ষার্থী আছে কিনা! জানতে চাইলে কোনো উত্তর দেননি তিনি।
বিদ্যালয় এস.এম.সি কমিটির সভাপতি মোঃ শাহাদাৎ ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আকবর  হোসেন মেহেরাজ এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি এই বিসয়ে কিছুই জানিনা বিদ্যালয়ের প্রধার শিক্ষকই ভাল বলতে পারেন।
উপজাতি শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সুযোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা শিক্ষা অফিসার যতীন্দ্র কুমার মন্ডল বলেন, আমি শুনেছি মাত্র। এই ধরনের কোনো অভিযোগ আমার হাতে আসেনি। অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক ও আপত্তিকর। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
mongsai79@gmail.com

Comments