২০১৬ সালের শেষ ছয় মাসে প্রতিষ্ঠানটির কাছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য চাওয়ার পরিমাণ আগের চেয়ে বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। অবশ্য সরকারের চাহিদার বিপরীতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মাত্র সাড়ে ২৪ শতাংশ তথ্য দিয়েছে। এদিকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় বন্ধ থাকা অনেক বাংলাদেশির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আবার খুলেছে। অবশ্য এই সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনো তথ্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেনি।
ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধে ১২ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে ফেসবুক। এতে বাংলাদেশের কয়েক লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ ছিল, তাদের ব্যবহার করা প্রকৃত অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ থাকা এমন অনেক অ্যাকাউন্ট আবার খুলে দেওয়ার তথ্য গতকাল শনিবার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সারওয়ার শাতিল শুক্রবার থেকে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবার লগ–ইন করার পর থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছি। অ্যাকাউন্টের সব তথ্যই আগের মতো আছে। তবে যেসব পেজে আগে লাইক দেওয়া ছিল, সেগুলোতে এখন লাইক নেই, এই পার্থক্যটি চোখে পড়েছে।’ একই কথা বলেছেন অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া আরও কয়েকজন।
বরিশালের বাসিন্দা কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যাকাউন্টটি ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পরপরই জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের তথ্য স্ক্যান করে ফেসবুকের কাছে জমা দিয়েছিলাম।’ তাঁর দাবি, আগে ব্যবহার করা নাম পরিবর্তন করার কারণেই ফেসবুক তাঁর অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছিল। ২৭ এপ্রিল ফেসবুক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে মোট ৪৯টি অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বছরের প্রথম ছয় মাসে এমন অনুরোধের সংখ্যা ছিল ১০।
ফেসবুক প্রতি ছয় মাস পরপর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, গত বছরের শেষ ছয় মাসে ৪৯টি অনুরোধের মাধ্যমে ৫৭টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দেওয়ার কথা বলেছে ফেসবুক। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ২৪টি অনুরোধে ৩২টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হলে ফেসবুক ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ২৫টি অনুরোধে ২৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। এ ছাড়া অপরাধবিষয়ক তদন্তের জন্য ১৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের জন্যও ফেসবুককে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
mongsai79@gmail.com
ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধে ১২ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে ফেসবুক। এতে বাংলাদেশের কয়েক লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে অনেক ব্যবহারকারীর অভিযোগ ছিল, তাদের ব্যবহার করা প্রকৃত অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ থাকা এমন অনেক অ্যাকাউন্ট আবার খুলে দেওয়ার তথ্য গতকাল শনিবার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সারওয়ার শাতিল শুক্রবার থেকে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবার লগ–ইন করার পর থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছি। অ্যাকাউন্টের সব তথ্যই আগের মতো আছে। তবে যেসব পেজে আগে লাইক দেওয়া ছিল, সেগুলোতে এখন লাইক নেই, এই পার্থক্যটি চোখে পড়েছে।’ একই কথা বলেছেন অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়া আরও কয়েকজন।
বরিশালের বাসিন্দা কামরুল আহসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অ্যাকাউন্টটি ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পরপরই জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের তথ্য স্ক্যান করে ফেসবুকের কাছে জমা দিয়েছিলাম।’ তাঁর দাবি, আগে ব্যবহার করা নাম পরিবর্তন করার কারণেই ফেসবুক তাঁর অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দিয়েছিল। ২৭ এপ্রিল ফেসবুক প্রকাশিত ‘গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্টস রিপোর্ট’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে ফেসবুকের কাছে মোট ৪৯টি অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বছরের প্রথম ছয় মাসে এমন অনুরোধের সংখ্যা ছিল ১০।
ফেসবুক প্রতি ছয় মাস পরপর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, গত বছরের শেষ ছয় মাসে ৪৯টি অনুরোধের মাধ্যমে ৫৭টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দেওয়ার কথা বলেছে ফেসবুক। আইনি প্রক্রিয়ার জন্য ২৪টি অনুরোধে ৩২টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হলে ফেসবুক ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দিয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে ২৫টি অনুরোধে ২৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক। এ ছাড়া অপরাধবিষয়ক তদন্তের জন্য ১৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণের জন্যও ফেসবুককে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
mongsai79@gmail.com
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment