ইন্টারনেটে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

ইন্টারনেটে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি
তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইন্টারনেট। এর ব্যবহার উৎসাহিত খরচ কমাতে হবে। সবার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার সহজ, ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ইন্টারনেট সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতির সুপারিশ করেছে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনাকালে অ্যামটবের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রস্তাব দেওয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং অ্যামটবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির মোবাইল অপারেটর কম্পানিগুলোর করপোরেট কর কমানোর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘করপোরেট করহার কমিয়ে সাধারণ কম্পানির মতো নির্ধারণ প্রয়োজন। এতে কম্পানিগুলো মুনাফা করতে পারবে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। ’
নুরুল কবির আরো বলেন, মোবাইল কম্পানিগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে সহজে সেবা দিতে কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। সরকারের উচিত হবে সিম কার্ডের ওপর আরোপিত সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা।
নুরুল কবির বলেন, দেশের ৪৬ শতাংশ মানুষ এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে আছে। বিশাল এ জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। মোবাইল অপারেটরগুলো সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।
নুরুল কবির বলেন, মোবাইল অপারেটররা এ খাতের অগ্রপথিক। কিন্তু এ খাতের অংশীজনদের ওপর উচ্চ করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোবাইল অপারেটর কম্পানিগুলোকে ৪০ শতাংশ ও তালিকার বাইরে থাকা কম্পানিগুলোকে ৪৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর পরিশোধ করতে হয়। এত উচ্চ করারোপ অন্য কোনো খাতে নেই।
নুরুল কবির বলেন, উচ্চ করারোপের কারণে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার চেষ্টা পুরোপুরি সফল হচ্ছে না। সম্ভাবনাময় এ খাতকে আলাদাভাবে বিবেচনা না করে অন্যান্য সাধারণ কম্পানির মতো করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা উচিত।
mongsai79@gmail.com

Comments