সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর তোফাজ্জল উপজাতিদের পূর্বের ইতিহাস জানালেন

আগুন দেওয়ার ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন কোন ঘটনা নয়। এগুলো রাজনৈতিক আগুন, উদ্দেশ্য প্রনোদিত।তিনি আরো বলেন আমি যখন দায়িত্বরত ছিলাম তখন ১৯৮৫ সালে পানছড়ি উপজেলার দুদুকছরি, কালাচাঁন কারবারী পাড়া এলাকায় শান্তিবাহিনী রাতের আঁধারে সব মানুষকে ভারতের ত্রিপুরা নিয়ে যায়। যাবার সময় ভোর রাতে পাড়াতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দেখে সেনাবাহিনী লোগাং ক্যাম্প হতে ঘটনা স্থলে হাজির হয়,ততক্ষনে সব ছনের ঘর শেষ। কোন হতাহত নেই,কোন মানুষ নেই, গবাদি পশু নেই, হাসমুরগীও নেই। কে বা কারা আগুন দিল সেটা বলার কোন মানুষও নেই।
কিন্তু দুইদিন পর সংবাদ হল- সেনাবাহিনী নির্বিচারে সেখানে গনহত্যা চালিয়েছে, যুবতী ধর্ষণ করেছে আর আগুনে সব পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আন্তর্জাতিক ভাবে সরকারের কাছে ঘটনা জানতে চাওয়া হল। বিদেশী দূতাবাস ঘটনার নিন্দা জানালো, ত্রিপুরা শরনারথী শিবিরে শরনারথীরা শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিল সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তথা সরকারের বিরুদ্ধে।তখন এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হল,তদন্তে সত্য উদঘাটন হল যে, শান্তিবাহিনী পরকল্পিত ভাবে এই আগুন লাগিয়েছে।
লংগদুর ঘটনা নিয়ে বাংগালীরা বলছে, ঘটনাস্থল হতে বাংগালির অবস্থান অনেক দূরে। জনসংহতি সমিতির শক্ত ঘাঁটি ওটা। মূলত: নয়ন হত্যাকাণ্ড হতে দৃষ্টি অন্যত্র ফেরানোই হচ্ছে অগ্নিকান্ড ঘটানোর লক্ষ্য।
অন্যদিকে জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমক্রটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সহ এবং কিছু মিডিয়া দাবী করছে এটা বাংগালীদের কাজ।
তাই আমি মনে করি এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার। এভাবে বাড়ি- ঘর পোড়ানো,মানুষ খুন করা সহ সন্ত্রাসী কাজে যারা জড়িত তাদের বিচার হওয়া দরকার। তবে দৃষ্টি বা আংগুল নির্দেশ একদিকে হবে কেন ? কেন তদন্তের আগে ধরে নিচ্ছেন বাংগালীরা কাজটি করেছে ? এগুলো সুগভীর চক্রান্তের ফল। লাভ কার- সেটাই বিবেচ্য।নিরীহ মানুষের জান- মাল নিয়ে যারা সন্ত্রাস করে তারা যেই হোক ধিক্কার পাওয়ার যোগ্য। আমি লংগদু ঘটনায় মর্মাহত। ঠিক তেমনি মর্মাহত নুরুল ইসলাম নয়নের হত্যা কাণ্ডে।
আমি চাই ১৯৮৫ সালের মত ঠিক একইভাবে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক। মিথ্যা অনুমান নির্ভর গ্রেফতারে লাভ হবেনা।এতে এ ঘটনা আবারও ঘটবে।ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তারা সাম্প্রদায়ীক সংঘর্ষ সৃষ্টির লক্ষ্যে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। কারা করেছে তা সুষ্ট তদন্ত হলে বের হবে।এবং যারা ঘটনার সাথে জরিত তাদের কঠোর শাস্তি প্রদান করে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কোন মূল্যে জান- মালের হেফাজত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ধরে রাখতে হবে।
mongsai79@gmail.com

Comments