বান্দরবানে চিম্বুক পাহাড়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ম্রো সম্প্রদায়ের শিশুদের মাঝে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে। এসব ওষুধ নিয়ে এলাকায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার পর বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
সিভিল সার্জন অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে ওইদিনই কমিটি গঠন করেছেন।
বান্দরবানের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. অংশৈ জানান, চিম্বুক পাহাড়ের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে শিশুদের মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়েটিক ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করেছেন। এছাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয় শর্ত ভাঙারও অভিযোগ করেছেন চিম্বুক পাহাড়ের ম্রো সম্প্রদায়।
এসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সম্প্রদায়ের নেতা রাংলাই ম্রো জানান, ২০০৮ সালে চিম্বুক পাহাড়ের ওয়াই জংশন এলাকায় অনগ্রসর ম্রো সম্প্রদায়ের চিকিৎসা সেবায় বেসরকারি সংস্থা গণস্বাস্থ্য একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করে। শুরু থেকেই তারা শর্ত ভেঙে কাজ করছেন। বেশ কয়েকবার ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ম্রোদের মাঝে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এসব ওষুধ খেয়ে শিশুসহ বয়স্কদের মাঝে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সম্প্রতি ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আবারও শিশুদের মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়েটিক ওষুধ সরবরাহ করা হলে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, চিম্বুক পাহাড়ের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে যে ওষুধটি সরবরাহ করা হয়, তা গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিকেলস লিমিটেডের তৈরি ৫০ মিলিলিটারের এন্টিবায়েটিক ওষুধ জি সেফিক্সিম।
ওষুধটির গায়ে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা ছিল ০৫/২০১৭। উৎপাদন তারিখ ছিল ০৫/২০১৫।
এই ওষুধটি চিম্বুক এলাকার ম্রো পাড়ার শিশুদের দেয়া হয়েছে কয়েকদিন আগে। ম্রো সম্প্রদায়ের শিক্ষিত ছেলেরা বিষয়টি খেয়াল করার পর সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল ইনচার্জ (বান্দরবান ও কক্সবাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত) জয়নাব আলী জানান, ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন প্যারামেডিক্সসহ দু’জন কর্মরত। তারা নিয়মিত ওই এলাকায় জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তবে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সরবরাহের ঘটনা তার জানা নেই বলে দাবি করেন তিনি।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment