আর্মিতে ক্যু পাল্টা ক্যুয়ের আশংকাঃ জেনারেল আকবরের রহস্যজনক তৎপরতা!


ষোড়শ সংশোধনীর রায় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সাথে সরকারের সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে আর্মি ক্যু এবং পাল্টা ক্যুয়ের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমনকি ঘটে যেতে পারে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের মত সেনাদের হাতে অফিসার হত্যার ঘটনার পূনরাবৃত্তি।
সেনানিবাস সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক চড়াই উৎড়াই হতে পারে এমন ধারনা করে আ’লীগ প্রধান ও বর্তমান বিনাভোটের সরকারের প্রধানমন্ত্রী তার বিশ্বস্ত মেজর জেনারেল আকবর হোসেনকে কয়েক মাস আগে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি করে সাভারে পদায়ন করেন। উল্লেখ্য, জেনারেল আকবর এর আগে শেখ হাসিনার অধীনে তিন বছর ডিজিএফআইর প্রধান ছিলেন। বিরোধী দলের গুম খুনের বহু ঘটনার সরাসরি নির্দেশদাতা ছিলেন এই আর্টলারি জেনারেল।
সাভারের জিওসি জেনারেল আকবর গত ১০/১২ দিন যাবৎ ছুটি নিয়ে ঢাকায় ঘোট পাকাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এরকম আরও কয়েকজন জিওসি’ ছুটি নিয়ে ঢাকায় রহস্যজনক তৎপরতা চালাচ্ছেন। সেনানিবাসে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, শেখ হাসিনার নির্দেশে জেনারেল আকবর সেনাবাহিনীতে বিভিক্তি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছেন, যাতে সুপ্রীম কোর্ট সরকার বা সংসদ অবৈধ ঘোষণা করলে হাসিনার পক্ষে ক্যু করতে পারে।
গোয়েন্দা সূত্রটি জানায়, গত ১৭ আগস্ট সকালে কয়েকজন জেনারেল সাথে নিয়ে জেনারেল আকবর প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়েছিলেন। তারা বিচারপতি সিনহাকে অনুরোধ এবং হুমকি দিয়ে আসছেন, যেনো সরকারের কথামতো ষোড়শ সংশোধনীর রায় পরিবর্তনের করেন। বিচারপতি সিনহা ঐ অবৈধ দাবী প্রত্যাখ্যান করেন। তবে তিনি এ সবের আভাস দেন সুপ্রীম কোর্ট মিলনায়তনে এক বই উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে। প্রধান বিচারপতি বলেন, বিভিন্ন এজেন্সি থেকে চাপ দেয়া হচ্ছে!
জেনারেল আকবর এবং কতিপয় জেনারেল রহস্যজনক চলাচলের খবর ক্যান্টনমেন্টগুলো ছড়িয়ে পড়লে সেনাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাজনৈতিক বিষয়ে জেনারেলদের এহেন তৎপরতাকে সেনাআইন ও শৃঙ্খলার পরিপন্থি হিসাবে আলোচিত হতে থাকে। ঐ সব জেনারেলদের অবিলম্বে প্রত্যাহার ও বিচারের দাবীও ওঠে। এমনও কথা উঠে, জেনারেল আকবর নিজেই নারী নির্যাতন ও খুনের অপরাধে অভিযুক্ত।
বাইরের রাজনীতি নিয়ে সেনাঅফিসারদের এসব তৎপরতায় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ডেকে আনতে পারে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, স্বাধীনতার পরে ১৯৭৫ সালে সেনাঅফিসারদের মধ্যে এরূপ বিভিন্নমুখি কর্মকান্ডের ফলে সৈনিকদের হাতে অফিসার নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৭৫ সালে ৭ নভেম্বর রাতে সিপাহীদের বিদ্রোহে ঢাকা সোনানিবাসে সৈনিকদের হাতে প্রাণ হারায় কয়েক ডজন সেনা অফিসার। তখন আওয়াজ উঠে “সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই, অফিসারের রক্ত চাই”! সেনা অফিসাররা বাসাবাড়ি কাপড় পোষাক রেখে সেনানিবাস থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। অবশ্য পরের দিন সকালেই সেনাপ্রধান জিয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরে আসে, এবং জনগনকে সাথে নিয়ে ঘটায় ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার বিপ্লব।
আবার তেমন ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
সূত্র : বিডি পলিটিকো
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments