রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা পুনরায় ফিরে গিয়ে তাদের বাড়ি-ঘরের মালামাল নিয়ে আসছেন। টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাবিল সীমান্তে সরজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
মংডু শীলখালীর আব্দুল জলিলের ছেলে আবু সিদ্দিক। তিনি দশ হাজার টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে শীলখালী গ্রাম থেকে নৌকা ভর্তি করে মালামাল নিয়ে আসেন।
তিনি আরটিভি অনলাইনকে জানান, বাড়ি থেকে আনা মালামালগুলো লম্বাবিল এলাকায় পরিচিত এক ব্যক্তির বাড়িতে রাখবেন। তারপর তিনি উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলে যাবেন।শুধু আবু সিদ্দিক নন অনেক রোহিঙ্গাই পুনরায় নাফ নদী পাড়ি দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মালামাল নিয়ে আসছেন। এক্ষেত্রে তারা হোয়াইক্যং এর তেচ্ছিব্রিজ, কাঞ্জরপাড়া পয়েন্টকে যাতায়াতের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের এভাবে এপার-ওপার হওয়ার কারণে সীমান্তে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে।’
তিনি ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল একেবারে থেমে নেই। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কমবেশি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় রোববার অনুপ্রবেশ ছিল অনেক কম।
সীমান্ত এলাকার লোকজন জানিয়েছেন দিনে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কম, কিন্তু রাতের আঁধারে রোহিঙ্গারা এপারে ঢুকে পড়ছে। মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে।প্রায় অর্ধমাস ধরে সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্ট দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। তবে গেলো দুই থেকে তিনদিন ধরে টেকনাফের সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কমেছে।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, দক্ষিণপাড়া, জেটিঘাট, পৌরসভার নাইট্যংপাড়া, সদর ইউনিয়নের বড়ই তলী, কেরুনতলী, লেদা, হ্নীলা, হোয়াইক্যংয়ের উলুবনিয়া, খারাইংগ্যাঘোনা, লম্বাবিল, তেচ্ছিব্রিজ, কাঞ্জরপাড়া এলাকা দিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রাকিব আহমেদ আরটিভি অনলাইনকে জানান, যেভাবে বানের স্রোতের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছিল সে তুলনায় গেলো কয়েকদিন ধরে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ কমেছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুস সালাম আরটিভি অনলাইনকে জানান, রাতের আধারে দালালদের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা আসছে। তবে আগের তুলনায় এখন রোহিঙ্গারা কম আসছে।
এদিকে শনিবারও মিয়ানমারের কুমিরখালী, শীলখালী ও রোববার সকালে খাইয়ংখালী এলাকায় আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।
মিয়ানমারের সেনারা গেলো দুইদিন ধরে রোহিঙ্গাদের এপারে আসতে বাধা দিচ্ছেন বলে সদ্য অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। এদিকে মিয়ানমার সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে এখনো অনেক রোহিঙ্গা রয়েছে বলেও জানান তারা।
Source
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ
https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment