নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার থানচিতে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী

থানচিতে বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী
নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে বান্দরবানের থানচি উপজেলার তিন্দু গ্রোপিং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। বারবার অভিযোগ করেও কোনও প্রতিকার না পাওয়ায় আজ সোমবার সকালে স্কুল পরিচালনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি উসাচিং মারমা এবং কমিটির সদস্যরা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।
এ সময় ইউপি সদস্য ক্রানিং অং মারমা, কাইতাং খুমি এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সাইওয়াং মারমা উপস্থিত ছিলেন।
কাজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে এলজিইডির থানচি উপজেলা প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন ভূঁঞা বলেন, "জনগণের বাধার কারণে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন (পিডিইপি ৩) কর্মসূচির  আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রায় ৬৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ শুরু করে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইউ টি মং কনস্ট্রাকশনের নামে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রকল্পের কাজ করছেন থানচি উপজেলা প্রকৌশল অফিসের ইলেক্ট্রিশিয়ান রোকন মিয়া। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ইউ টি মংয়ের কাছ থেকে ৬৮ লাখ টাকার কাজ ১০ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন এলজিইডির চতুর্থ শ্রেণির এই কর্মচারী।
কাজ বন্ধ করে দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসএমসি সভাপতি উসাচিং মারমা বলেন, "ঠিকাদার তাদের কথায় কর্ণপাত না করে গায়ের জোরে কাজ করায় বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যহ্লাচিং মারমা এবং এলজিইডি'র প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁঞা স্কুলভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এলে স্থানীয়রা উপ-ঠিকাদার রোকন মিয়া কর্তৃক সিডিউল বহির্ভূত নিম্নমাণের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেন এবং কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানান।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকৌশলী সিডিউল অনুযায়ী যথাযথ নিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। কিন্তু এরপরও ঠিকাদার রোকন মিয়া গত শুক্রবার থেকে স্থানীয় সাংগু নদীর কাদা ও ময়লা আর্বজনামিশ্রিত বালি দিয়ে ভবনের প্লাস্টার করা শুরু করেন।
তাকে সিডিউল অনুযায়ী উন্নত বালি দিয়ে কাজ করার জন্য বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি তাতে গুরুত্ব না দেওয়ায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঠিকাদার ইউ টি মং এবং উপ-ঠিকাদার রোকন মিয়ার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁঞা জানান, দাপ্তরিক প্রয়োজনে তিনি কর্মস্থলের বাইরে রয়েছেন। ফলে প্রকল্প এলাকায় গিয়ে অভিযোগ যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্মস্থলে ফিরে এসে তিনি সরেজমিন তদন্ত করে দেখবেন বলে জানান।  
Source মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments