পাহাড়ে সংঘাত নিরসনে কি করছে প্রশাসন?

বাংলাদেশ, পার্বত্য চট্টগ্রাম
Image captionরাঙামাটি, বান্দরবান আর খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের পার্বত্য তিন জেলাতেই পাহাড়ি বাঙ্গালি বিরোধ
বাংলাদেশের পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৩০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় সাতজন বাঙালিকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মীর মরদেহ পাওয়ার পর সেখানে উত্তেজনার শুরু। শুক্রবার নিহতের জানাজার পর স্থানীয় বাঙালিরা মিছিল বের করে এবং পাহাড়িদের বাড়িঘরে আগুন দেয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মাঞ্জারুল মান্নান বলছেন ঘটনার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা দু'পক্ষকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন।
তিনি বলছেন, তারা দু'পক্ষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো আস্থা বাড়ানো। পাহাড়ি ও বাঙ্গালি বহু বছর ধরে একসাথে বাস করছে। এ ঘটনায় একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেটি যেনো না থাকে।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি অভিযোগ করেছে যে, স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রছায়ায় এই হামলা হয়েছে।
হামলার ভয়ে যেসব মানুষ পালিয়ে গিয়েছিলেন তাদের কেউ কেউ গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বিবিসির সাথে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মেঘনা গুহঠাকুরতা।
তিনি বলেন, "আস্থা বাড়ানোর জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। যে চুক্তি অনুযায়ী সেনা ক্যাম্পের প্রত্যাহার করার কথা ছিলো সেটি হয়নি"।
রাজনৈতিক দলগুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা কমই করে বলে মনে করেন তিনি।
পাহাড়ে শান্তি আসছেনা কেন ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন স্থানীয় প্রশাসনকে জনমূখী হতে হবে না হলে এটা হবেনা।
Source মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments