মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা-নির্যাতন ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকার মুখে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সহিংতার শিকার রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে জরুরি খাদ্য সরবরাহ কর্মসূচি স্থগিত করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
গতকাল শনিবার ডব্লিউএফপির এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাখাইন রাজ্যে সহিংসতায় অভ্যন্তরীণভাবে গৃহহীন দুই লাখ ৫০ হাজার এবং অন্যান্য অতি দরিদ্র মানুষের মধ্যে যে খাবার সাহায্য দেওয়া হতো তা স্থগিত করা হলো। এদের মধ্যে রাখাইন রাজ্যেই বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা এক লাখ ২০ হাজার মানুষ ডব্লিউএফপির খাবারের ওপরই নির্ভর করত, যাদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা।
তবে ডব্লিউএফপির বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, চলমান সহিংসতায় বিপদগ্রস্ত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সাহায্য কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করছেন তাঁরা। বর্তমান সহিংসতায় নতুন আরো যেসব লোক আক্রান্ত হবে তাদেরকেও সাহায্য দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে জাতিসংঘ। অবশ্য এর আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সেই অবস্থান থেকে সরে আসা এবং অভিযান বন্ধ করতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজ।২০১২ সাল থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহযোগিতা দিয়ে আসছিল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। এতে আড়াই লাখ মানুষের খাদ্যের সংস্থান হত। কিন্তু এ কর্মসূচি স্থগিত করায় তাদের খাদ্য নিরাপত্তায় চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হল।
গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।
এর আগে ২০১২ সালের জুনেও রাখাইন রাজ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছিল। তখন প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হন। ওই সময় দাঙ্গার কবলে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ
https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment