রোহিঙ্গা ইস্যুতে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেউ যাতে শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিন : সরকারের প্রতি চাকমা রাজা

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে কেউ যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।
আজ রোববার রাঙ্গামাটি চাকমা রাজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানান রাজা দেবাশীষ রায়। তিনি দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশী ব্যক্তিদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করাসহ সরকারের কাছে ৭ দফা দাবি পেশ করেন।
সরকারের কাছে রাজার ৭ দফা দাবিতে রয়েছে- ১। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কূটনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে যথাযথ পরিবেশ আনয়ন সাপেক্ষে বর্মী শরণার্থীদের তাদের স্ব স্ব এলাকায় সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা, ২। স্বদেশে প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পর্যাপ্ত শিবির প্রতিষ্ঠা এবং শিবিরবাসীর জন্য খাদ্য ও পুষ্টি-নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা ও অন্যান্য মৌলিক সুযোগ প্রদান করা। এতে আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিওদের আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগিতা ও ভূমিকা থাকা। তবে শিবিরের স্থান বাছাইয়ে যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ক্ষতি সাধিত না হয় তাও নিশ্চিত করা, ৩। বাংলাদেশে বসবাসরত ‘রোহিঙ্গা’ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতে লিপ্ত সংগঠন বা ব্যক্তিদের সশস্ত্র সংঘাত সম্পর্কিত কার্যকলাপ যাতে বাংলাদেশে বা বার্মায়, হতে না পারে, সরকার কর্তৃক তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া, ৪। সরকার, পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন এলাকাতে বসবাসকারী বা সফররত পাহাড়ি বা আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বাংলাদেশী ব্যক্তিদের (বিশেষ করে চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার রফতানি কারখানায় কর্মরত পাহাড়ি ব্যক্তিদের) জীবন, দেহ ও সম্পত্তির নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ৫। প্রচার মাধ্যম, রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় নেতা, গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজ কর্তৃক বার্মার রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতকে বৌদ্ধ ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ মর্মে অপব্যাখ্যাকে প্রতিহত করা, ৬। ফেসবুকসহ ইন্টারনেট, পত্রপত্রিকা, সভা, সম্মেলন, সমাবেশ ও অন্যান্য মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা, এবং ৭। সীমান্ত এলাকায় শরণার্থী শিবিরে যথাযথ সুযোগ-সুবিধা প্রদান ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শরণার্থীদের পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যত্র অঞ্চলে অভিবাসন না হওয়ার ব্যাপারে সরকার কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা।
চাকমা রাজা বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে দেশে আশ্রয় দিয়ে তাদেরকে মর্যাদা সহকারে যা কিছু করার সরকারকে তা করতে হবে। কেউ যাতে এই রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সকলকে সজাগ থাকারও আহবান জানান রাজা দেবাশীষ রায়।
Source মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments