এ বি এম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১১ সালে ১০ মে আপিল বিভাগ ১৩তম সংশোধনী তথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অসংবিধানিক এবং বাতিল বলে ঘোষণা করে। পরের মাসেই ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করা হয়। প্রধান বিচারপতি হিসেবে এবিএম খায়রুল হক অবসরে যাওয়ার ১৬ মাস পর ২০১৩ সালের নভেম্বরে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। অবসরে যাওয়ার এতদিন পর কোনো রায়ে স্বাক্ষর করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তখন।
আর, ২০১১ সালের ১০ মে ঘোষিত সংক্ষিপ্ত আদেশে একটি শর্তে (সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজন হলে) আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকেরা মত দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সংক্ষিপ্ত আদেশে পূর্ণাঙ্গ রায়দানকারী সাত বিচারকের মধ্যে কতজন মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং কতজন মিলে সংখ্যালঘু ছিলেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। পরে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী মনে করেন বিচারপতি খায়রুল হক এবং আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি।
আর, ২০১১ সালের ১০ মে ঘোষিত সংক্ষিপ্ত আদেশে একটি শর্তে (সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রয়োজন হলে) আগামী দুটি সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে বলে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারকেরা মত দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সংক্ষিপ্ত আদেশে পূর্ণাঙ্গ রায়দানকারী সাত বিচারকের মধ্যে কতজন মিলে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং কতজন মিলে সংখ্যালঘু ছিলেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। পরে জানা যায়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী মনে করেন বিচারপতি খায়রুল হক এবং আপিল বিভাগের তিন বিচারপতি।
২০১৩ সালে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ঘোষিত রায়ে শর্ত সাপেক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা এবং লিখিত রায়ের আদেশে বিষয়টি বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। এবার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে রায়ের রিভিউ পিটিশন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন, আমিরুল ইসলাম সহ কয়েক আইনজীবী। আগামী ৩ অক্টোবর আদালত খুললেই তাঁরা আদালতে রিভিউ পিটিশন জমা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা একাধিকবার বৈঠক করেছেন বলেও জানা গেছে।বিভিউ পিটিশনে আগ্রহী সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের যুক্তি হলো, আদালতে একবার রায় বলা হলে তা চূড়ান্ত বলে গণ্য হয়। এর কোনো কিছু বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই এটি রিভিউ পিটিশনের জন্য যথোপযুক্ত।এর আগে বাংলা ইনসাইডারের ‘জুডিশিয়াল ক্যু’এর ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানোর নীলনকশার কথা বলা হয়েছে। এখানে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পরবর্তী ষড়যন্ত্রের একটি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে আবারও অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া।জুডিশিয়াল ক্যু এর সঙ্গে ড. কামাল হোসেন সহ অন্যান্য আইনজীবীদের এবিএম খায়রুল হকের রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশনের সরাসরি কোনো যোগাযোগ আছে কিনা তা এখনই নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ষড়যন্ত্রে সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি একদম অমূলকও নয় বলে মনে করেন অনেকে।
Source
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ
https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment