- Get link
- X
- Other Apps
নোবেল শান্তি পুরস্কার ২০১৭, শেখ হাসিনা এবং অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে যৌথভাবে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন একাধিক শিক্ষাবিদ এবং নোবেল জয়ী। এরা সবাই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য। আগামী ১ অক্টোবরের মধ্যে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মতামত চেয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত কমিটি। বিশেষজ্ঞ প্যানেলের চারজন শেখ হাসিনার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনজন এই পুরস্কার যৌথভাবে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন।
ইউরোপীয় পিস অ্যান্ড রিসার্চ অ্যাসোসিয়েশনের (EUPRA) দ্যানিয়েলা ইরিরা নোবেল কমিটিকে দেওয়া চিঠিতে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে শরণার্থী সমস্যা বিশ্বশান্তির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জার্মান চ্যান্সেলর নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ঝুঁকি নিয়ে জার্মানির দরজা উন্মুক্ত করেছেন। দেশে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই শরণার্থী প্রশ্নে তিনি মানবতাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। অন্যদিকে, বাংলাদেশ দারিদ্র থেকে উঠে আসার সংগ্রামরত একটি দেশ। নানা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রমাণ করেছেন, ‘মানবতা’র শক্তি কত বড়। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন মানবিক হবার পূর্বশর্ত ধনী হওয়া নয়। শেখ হাসিনা সীমানা সীল করতে পারত যেমনটি ভারত করেছে। এটা তাই শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত। তিনি বাধ্য হয়ে এটা করেননি। জার্মানি এবং বাংলাদেশের মেলবন্ধন ঘটেছে শরণার্থী ইস্যুতে। তাই আমি দুজনকেই বিশ্বশান্তির দূত মনে করি। দুজনই এই পুরস্কারের জন্য যোগ্য। এটা প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্যের এক যুগলবন্দী হবে, যা বিশ্বশান্তিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’
ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নন ভায়োলেন্ট কনফ্লিক্ট (ICNCC) এর মেরি এলিজাবেথ কিং লিখেছেন, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বে দুজন বিশ্বমাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। দুজনই শান্তির জন্য অসম্ভব ঝুঁকি নিয়েছেন। দুজনই যুদ্ধের বিরুদ্ধ্বে মানবতার জয়গান গেয়েছেন। এখানে একজনকে বাদ দিয়ে আরেকজনকে পুরস্কার দেওয়ার মানে হলো, একজনের কৃতিত্বকে ছোট করা। এখানে বড় কৃতিত্ব আর ছোট কৃতিত্ব বলে কথা নেই। দুজনেরই লক্ষ্য শান্তিময় এক বিশ্ব গড়ে তোলা। দুজনকে একসঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার দিলে যে বার্তাটি জোর দেওয়া যাবে তা হলো শান্তির কোনো জাতিধর্ম নেই, শান্তির কোনো ধনী-গরীব নেই, শান্তির কোনো দেশ নেই। দুই নেতাকে দিয়ে বিশ্বকে এক সুতোয় গাঁথার ছবিটি কেন আমরা নষ্ট করব।’
ইউনিভার্সিটি অব অসলোর রেক্টর সেভিন স্টোলেন তাঁর মতামত পত্রে বলেছেন, ‘নোবেলের উইলের সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ প্রার্থী পাওয়া গেল অনেক বছর পর। অ্যাঙ্গেলা মেরকেল যদি সিরিয়ার শরণার্থীদের না নিতেন তাহলে কি হত, তারা যুদ্ধ করতো। যুদ্ধ যত দীর্ঘ হত তত বাড়তো মানুষের লাশ। একই ভাবে শেখ হাসিনা যদি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের না নিতেন তাহলেও যুদ্ধ হত। এই যুদ্ধে শুধু আমাদের মানবিক বির্পযয় দেখতে হত। তাই, আমি কোনো অবদানকেই খাটো করতে চাই না। তাঁদের অন্য বিষয় গুলো খতিয়ে দেখতে চাই। শান্তির জন্য এরা যেটা করেছে, সেটাই বিশ্বের সবার করা উচিত। বহুবার নোবেল পুরস্কার যৌথভাবে দেওয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, সারা বিশ্বই খুশি হবে, দুজন সত্যিকারের মানবতাবাদী মানুষের হাতে এই পুরস্কার তুলে দিলে।
তিনজন এখনো তাঁদের মতামত জানাননি।
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment