বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে পেশকার ঘোনার এলাকায় গুরুভান্তে স্থাপিত বৌদ্ধ ধর্মীয় রাম ও নন্দগ্রী জাদীতে হামলা এবং অবমাননাকর ঘটনায় এক পৌর কাউন্সিলরসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে দু’মাসের কারাদন্ড ও এক হাজার টাকা অর্থ দন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬সালে ২১শে জুলাই শুক্রবার সকাল দশ টার দিকে বান্দরবান পৌরসভা চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিলীপ বড়য়া, বান্দরবানের সুন্দর আর্টের মালিক কিরণ বড়ুয়া, শহরের বালাঘাটার নিবাসী চৌধুরী বাবুল বড়য়া, মাদল বড়ুয়া ও মেঘনাথ বড়–য়াসহ অন্তত বিশ থেকে ত্রিশ জনের মত সশস্ত্র লোকজনকে সাথে নিয়ে রাম নন্দগ্রী জাদীতে হামলা চালায়। ওই সময় তারা হাতে ধারালো দা, ছুরি,কিরিচ,লাঠিসহ মারাত্মক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে বেআইনীভাবে প্রবেশ করে এবং হানা দেয়। তারা রাম নন্দগ্রী জাদীর চার পাশে উত্তোলিত ধর্মীয় ও জাতীয় পতাকা, ধর্মীয় ধ্বজা নামিয়ে আগুণে পুড়িয়ে ফেলে।এ ধর্মীয় অবমাননাকর ঘটনায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এঘটনার পর খিয়ংওয়া কিয়ং বৌদ্ধ বিহারের কর্তৃপক্ষ রোয়াংছড়ি থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়। এজাহারটি পরে জিআর ১২৬/২০০৬ মামলায় রূপান্তরিত হয়।
মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগ গঠন, মামলায় স্বাক্ষীদের জেরা,যুক্তি তর্কের পর ২০১০সালে ১৬ই মার্চ আসামীদের দু’মাসের কারাদন্ডাদেশ এবং এক হাজার টাকা অর্থ দন্ড দেন বিজ্ঞ আদালত। আসামীরা জেলা দায়রা ও জজ আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে রিট করেন। রিটের মামলা ২০১৭সালে ১২ই এপ্রিল খারিজ করা হয়।
পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে গত ২২ই আগষ্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
খিয়ং ওয়া কিয়ং রাজ গুরু বিহার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাচমং মারমা এর স্বাক্ষরিত এক লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
এদিকে ওই বিষয়ে বাচমং মারমা জানান , আসামীরা প্রকাশ্যেই ঘোরা ফেরা করছেন। গ্রেপ্তার হচ্ছে না। দ্রুত গ্রেপ্তার করে আসামীদের বিরুদ্ধে দেয়া রায় কার্যকর করার দাবি জানান তিনি।
অন্যদিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে পৌর কাউন্সিলর দিলীপ বড়য়া বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছিলাম। দীর্ঘ দিন শুনানীতে হাজিরা না দেয়ায় আপীল মামলাটি আদালত খারিজ করে দিয়েছেন এবং পূণরায় আদালতে জামিনের আবেদন করবেন বলে জানান এই মামলার প্রধান আসামী।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment