ছবি: প্রতীকী
মেবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়। তারপর প্রেমের সাড়া দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিশোরী শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানায় রোববার (১৯ নভেম্বর) রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত দেবাশীষ বাড়ৈকে (৩২) গ্রেফতার করেছে।
গত শনিবার রাতে (১৮ নভেম্বর) রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে এ ঘটনা ঘটেছে।
মামলার বিবরনে জানগেছে, কোটালীপাড়া উপজেলার কোনের ভিটা গ্রামের দ্বীপ চাঁন বাড়ৈর ছেলে ১ সন্তানের জনক দেবাশীষ রাড়ৈর সাথে মোবাইলে প্রায় ১ মাস আগে ওই ছাত্রীর পরিচয় ঘটে। দফায় দফায় ফোনালাপের মাধ্যমে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিববার সকাল ১০ টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে কুশলা গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়। পরে মোবাইলে প্রেমিকের আহবানে সাড়া দিয়ে ওই ছাত্রী খুলনার কুশলা থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আসে। প্রেমিক দোবাশীষ বাড়ৈর সাথে তার গোপালগঞ্জ শহরে দেখা হয়।
তারপর তারা দু’ জনে এক সাথে কোটালীপাড়া উপজেলা সদরে যায়। সেখান ঘোরাফেরার পর তারা সন্ধ্যায় লাটেঙ্গা গ্রামে পৌঁছায়। রাতে লাটেঙ্গা গ্রামের মনির পাগলের আশ্রমে নিয়ে দেবাশীয় ও তার সহযোগিরা ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থলে পৌঁছে দেবাশীষকে আটক করে। স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শনিবার রাতেই গ্রামবাসী দেবাশীষ বাড়ৈকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনাস্থল থেকে দেবাশীষকে হাতেনাতে আটক করা হয়। দেবাশীষের আরো দু’ সহযোগি এ সময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কোটালীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত দেবাশীষকে গ্রেফতারের পর অন্য আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দেবাশীষ ওই ছাত্রীকে পর্যায়ক্রমে ২ জন মিলে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। মেডিকেল করার জন্য ওই ছাত্রীকে সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Source
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ
https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment