সিনহার বিরুদ্ধে সুষমার অভিযোগ

সিনহার বিরুদ্ধে সুষমার অভিযোগ একটি অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) সুষমা সিনহা ও বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছবি: সংগৃহীত 
সরকারের চাপে নয় বরং পারিবারিক কলহের জেরেই পদত্যাগ করেছেন বিচারপতি সিনহা। তাঁর স্ত্রী সুষমা সিনহা বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেছিলেন। বিচারপতি সিনহার কিছু আপত্তিকর ভিডিও তাঁর কাছে এসেছিল। একারণেই সুষমা সিনহা ক্ষুব্ধ হয়ে সরকারের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে অভিযোগ করেন। পারিবারিক বিরোধের জেরে সিনহা পদত্যাগে বাধ্য হন।

বিচারপতি সিনহা এখন কানাডায় অবস্থান করলেও তাঁর মেয়ের বাড়িতে থাকছেন না। দুই কন্যাই পিতার কর্মকাণ্ডে হতাশ এবং বিরক্ত। জীবন সায়াহ্নে তাঁর এ ধরনের কর্মকাণ্ড মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। বিচারপতি সিনহার স্ত্রীও দেশে ফিরে এসেছেন। দেশে এসে তিনি উত্তরায় অবস্থান করছেন।

জানা গেছে, প্রধান বিচারপতি হবার পর সিনহা জুডিশিয়াল সার্ভিসের একজন অধঃস্তন কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সম্পর্ক এতোটাই গভীর হয়ে যায় যে, সিনহা তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সার্ভিসে বদলি করে নিয়ে আসেন। ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে যায়। বিচারপতি সিনহা তাঁকে নিয়ে অন্তত দুবার বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। বিষয়টি তাঁর স্ত্রীর কানে এলে, তিনি এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপর বিষয়টি বহুদূর গড়িয়েছে। তাঁর স্ত্রী ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, সব কিছু সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল।

গত অক্টোবরে, বিচারপতি সিনহা অস্ট্রেলিয়ায় গেলে, সেখানে পারিবারিক কোন্দল চরম আকার ধারণ করে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে যান বিচারপতি সিনহা। সুষমা সিনহা তাঁর ঘনিষ্টদের জানিয়েছেন,  আপাতত দেশে ফিরছেন না সিনহা। তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তাঁর বন্ধু একজন অ্যাটর্নির সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। একবার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করলে তাঁর আর দেশে ফেরার সম্ভাবনা থাকবে না। তবে,বিচারপতি সিনহার স্ত্রী কানাডায় যাবেন না, দেশেই বসবাস করবেন। স্বামীর পরকীয়ায় তিনি বিপর্যস্ত।

এদিকে সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, সরকার বিচারপতি সিনহার দুর্নীতির বিষয়টি নিয়ে চটজলদি কিছু করতে চায় না। অভিযোগগুলো এখন হিমঘরে। দুর্নীতি দমন কমিশন বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করবে এমন কথা আইনমন্ত্রী বললেও দুদক এসব অভিযোগ নিয়ে এখনো কাজ শুরু করেনি। সরকার বিষয়টিকে ‘পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজ’ হিসেবে দেখতে চাইছে। তবে আইনজ্ঞরা বলছে, সত্যি যদি বিচারপতি সিনহা কোনো অপরাধ করেন তাহলে অবশ্যই তাঁর বিচার হওয়া উচিত। এরকম একটি পদে থেকে দুর্নীতি করলে যদি তার দায়মুক্তি ঘটে তাহলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে। এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।
Source মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments