যে কারনে বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে এনজিওতে কর্মরত তরুণ-তরুণীরা

মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিলেন ক্যাম্পে। মানবতায় বেড়ে গেল কাজের গতি। সরকারি-বেসরকারি এনজিও সংস্থায় লোক নিয়োগ চলছে। কক্সবাজার জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্বল্প ও উচ্চ শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের ভাগ্যে জুটল চাকরি। যে মেয়েরা বাবা-মা ও ভায়ের কাছ থেকে ৪০ টি টাকা হাত খরচের জন্য পেত না সেই মেয়ে এখন ৪০ হাজার টাকায় এনজিওতে চাকরি করছে। যে স্বামী তার আর্থিক দুরাবস্থার জন্য যথা সময়ে স্ত্রীর প্রসাধনী কিনে দিতে পারতো না, সেই স্ত্রী এখন ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকায় চাকরি করছে। ভোর বেলা স্বামী তার স্ত্রীকে কর্মস্থলে যেতে গাড়িতে তুলে দেয়। স্ত্রীর ইনকাম ভাল হওয়ায় কদর বেড়ে গেছে। অধিক বেতন হওয়ায় মহা খুশি তারা। বাবা মাও বুক ফুলিয়ে বলেন, আমার ছেলে মেয়ে দুইজনেরই চাকরি হয়েছে এনজিওতে। উখিয়ায় স্কুল কলেজে পড়া শিক্ষার্থীরা আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যান না। তারা এখন চাকরির সুবাদে ক্যাম্পে যান। তবে কাধে ব্যাগ ঠিকই আছে, ব্যাগের ভেতর বই খাতা কলম নেই। এতোদিন যে মেয়েরা ঘরের লক্ষি হিসেবে বাড়িতে ছিল তারা হঠাৎ বাড়ি থেকে বের হলো।
আধুনিকতার নামে তরুণ-তরুণীদের নৈতিক অবক্ষয়
চাকরির সুবাদে ভোর বেলায় বের হওয়া আর রাত্রি বেলায় বাড়ি ফেরা। সন্ধ্যাকালীন সময়ে উখিয়ার নুর হোটেলের ২য় তলাসহ বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে তরুণ- তরুণীদের আড্ডা চোখে পড়ার মতো। এদের চাকরির সুবাদে বয় ফ্রেন্ড জুড়ে গেল। তাদের চলা-ফেরা কথা-বার্তায় ও পোষাকে অনৈতিকতার গন্ধ পাওয়া যায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, এনজিওদের টাকার গরমে বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করছে তরুণ-তরুণীরা। শিক্ষক ফরিদুল আলম আক্ষেপ করে বলেন, কথায় কাজে ও কর্মে একটি পবিত্র ভাব, যা মানুষকে ন্যায় পথে সঠিক পথে অবিচলিত রাখে চরিত্র। আজ চরিত্রের অমূল্য সম্পদ শেষ হতে চলেছে। তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য অশনি সংকেত। আগে আমাদের যে মেয়েরা হোটেল রেস্টুরেন্টে বসার কথা চিন্তাও করে নাই তারাও এখন অনায়াসে রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছে। তিন মাস আগেও এখানকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দেখলে দাঁড়িয়ে যেতো। এখন তাদের সাথে এনজিওর বয় ফেন্ড থাকায় দাড়াঁনোর তো দুরের কথা পা তুলে আড্ডা দিয়ে নাস্তা করছে। শিক্ষকদের দেখে না দেখার ভান করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিওতে কর্মরত তরুণ-তরুণীদের বেপরোয়া চলাফেরা এখানকার সুশীল সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে। মৌলানা রফিক আহমদ হাসেমী বলেন, মানবিক সমাজ গঠনে ধর্মের নৈতিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেছেন, ধর্মেই মানব জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তার বিধান করা হয়েছে। ধর্মে প্রত্যেক নারী-পুরুষের কর্মের কথা বলা হয়েছে। পর্দা মেনে কাজ করতে হবে। বেপর্দা ও বেপরোয়া চলাফেরা নারীদের অসম্মানীত করে।
Source মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/dashboard?o=U https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments