লোহাগাড়ার মরা ডলু কুল খাল সেতু ভাঙা সেতুতে দুর্ভোগ

ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা মরা ডলু কুল খাল সেতু দিয়ে এখন ভারী যানবাহন চলে না। ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে চলে ছোট যানবাহন l প্রথম আলোঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা মরা ডলু কুল খাল সেতু দিয়ে এখন ভারী যানবাহন চলে না। ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে চলে ছোট যানবাহন l প্রথম আলো
১৫ মিটার দীর্ঘ ৪ মিটার চওড়া বেইলি সেতুটির মাঝে কাঠের পাটাতন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। গাড়ি উঠলেই দুলে সেতু। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদসংলগ্ন আধুনগর হরিণা সড়কে মরা ডলু কুল খালের ওপর নির্মিত এই সেতু যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ বেড়েছে উপজেলার ২০ গ্রামের মানুষের।
লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর, চুনতি, পুটিবিলা ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ এই সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মরা ডলু কুল খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতু ১৯৯১ সালে বন্যার সময় ভেঙে যায়। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগ অস্থায়ীভাবে এই সেতু নির্মাণ করে। বর্তমানে এই সেতুর ওপর দিয়ে ভারী কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বেহাল সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোট যানবাহন। শিক্ষার্থীসহ গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকে হেঁটে পার হচ্ছেন সেতুটি। পথচারীদের কয়েকজন জানান, এই সেতু দিয়ে আধুনগরের হরিণা, চুনতির সাতগড়, ফারাঙ্গা, পানত্রিশা ও দক্ষিণ পুটিবিলাসহ ২০ গ্রামের মানুষজন চলাচল করেন।
এসব এলাকার কৃষিজীবী লোকজন সেতু দিয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন করছেন ঝুঁকি নিয়ে। বড় যানবাহন চলাচল না করায় ছোট যানবাহনে কৃষিপণ্য পরিবহন করতে গিয়ে খরচ বেড়ে যাচ্ছে তাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আধুনগর, চুনতি, পুটিবিলায় বর্ষাকাল ও শীতকালে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য ও শাকসবজি উৎপন্ন হয়। কিন্তু সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় পণ্য পরিবহনে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
আধুনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব মিয়া জানান, সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় রোগীদের হাসপাতালে নিতেও সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করছে।
আধুনগর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বলেন, সেতু বেহাল হওয়ার কারণে বর্ষাকালে ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার কমে যায়। সেতুটি জরুরি ভিত্তিতে পাকা করা প্রয়োজন।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান প্রথম আলোকে জানান, ১৫ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ৪ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে সেতুটি সংস্কারের জন্য ৪১ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দরপত্র আহ্বানের পর সেতুটি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
mongsai79@gmail.com

Comments