সড়কটি প্রায় ৩০-৪০ বৎসর পূর্বে যখন নির্মিত হয় তখন সড়কটি ছিল গ্রামীন সড়ক। তখন ট্রাফিক ভলিউম ছিল খুবই কম, দিনে বড়জোর ৫-৬টি গাড়ী চলাচল করতো এবং ওভারলোডেড গাড়ী নাই বললেই চলে। তখন সেই অবস্থার প্রেক্ষাপটে এবং কম খরচে এই সমস্ত জায়গায় পাইপ কালভার্ট দেওয়া হতো। তখন যে ভারী বর্ষন হয়নি তা কিন্তু নয়। তখনও হয়েছিলো, কিন্তু পাইপ ক্লিয়ার থাকায় পানি দ্রুত নেমে যেতে পেরেছে। কিন্তু কালের পরিক্রমায় ট্রাফিক ভলিউম কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে ওভারলোডেড ট্রাকের সংখ্যা। ফলে ভারী যানবাহনের চাপে এবং পেভমেন্ট স্ট্রেন্থজেনিং হওয়ায় সেল্ফলোডও কয়েকগুন বৃদ্ধি পায়। ফলে ঐ পাইপ কালভার্ট অতিরিক্ত ভারে সংকুচিত হতে থাকে। এভাবে সংকুচিত হয়ে হয়ে একসময় পুরো পাইপ কালভার্ট চ্যাপ্টা হয়ে পানির প্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে পাহাড়ীয়া পানি উজানে জমা হয়ে প্রচন্ড বেগে সড়ক বাঁধসহ ওয়াশ হয়ে যায়,। আমার জানামতে ঐ সড়কে আরো অনেক জায়গায় এভাবে পাইপ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আছে। শীঘ্রই ঐ সমস্ত জায়গায় বক্স কালভার্ট করা দরকার, নচেৎ এর চাইতে বড় ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার আশংকা আছে।
(ছবিতে বর্নিত ক্ষতিগ্রস্থ এই অংশটি রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে ৬ষ্ঠ কিলোমিটারে মানিকছড়ি-কুতুকছড়ি মাঝামাঝি।)
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment