টেকনাফে চাকমা পল্লীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে উত্তেজনা!

Teknaf-chakma.jpg
টেকনাফে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চাকমা পল্লীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন হোয়াইক্যং রেঞ্জের বাহারছড়া ঢালার মুখে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃত্বে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের কাজ জোরে শোরে চলছে। বন বিভাগ এবং চাকমা সম্প্রদায়ের বাঁধার মুখে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য জোরপূর্বক রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে তুলছেন। সোমবার বেলা ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অসংখ্য রোহিঙ্গা ও স্থানীয় শ্রমিক মিলে মিশে গাছ এবং মাটি কেটে নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্প গড়ে তোলার কাজ করছেন। সেখানে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের কাজ করতে দেখা গেছে। ইতিমধ্যে কয়েক’শ রোহিঙ্গা পরিবার সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। তারা সেখানে নিজেরা ঘর করার কাজ করছেন। বাহারছড়া এলাকা থেকেও গাড়ী যোগে এবং পায়ে হেঁটে শত শত রোহিঙ্গা হোয়াইক্যং ঢালার মুখে স্থাপিত ক্যাম্পে আসছেন। এদিকে চাকমা পল্লীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপিত হলে যে কোন মুহুর্তে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারে। এমনকি চাকমা এবং রোহিঙ্গাদের মাঝে যে কোন সময় বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা বেঁধে যেতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোয়াইক্যং লম্বাঘোনা, লাতুরীখোলা ও হরিখোলা গ্রামে প্রায় ৪শ পরিবার বসবাস করে। উপজেলার সবচেয়ে বড় আদিবাসী পল্লী হোয়াক্যংয়ের লম্বাঘোনা ও হরিখোলায় রোহিঙ্গাদের জন্য ক্যাম্প করা হলে সমস্যা হতে পারে এমনটি মনে করছেন স্থানীয় 

রাজনৈতিক সচেতন মহলসহ অনেকে। হরিখোলা বৌদ্ধ বিহার কমিটির সভাপতি মনি স্বপন চাকমা জানান, রোহিঙ্গারা নির্যাতিত সেটা ঠিক। আমরা মিয়ানমারে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছি। আমাদের দক্ষিণ পার্শ্বে রইক্ষ্যং পাহাড়ে ইতিমধ্যে একটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসেছে। সেখানে না পাঠিয়ে অল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা নিয়ে এখানে অপর একটি ক্যাম্প করার কোন যৌক্তিকতা দেখছিনা। ক্যাম্প হচ্ছে জেনে চাকমা সম্প্রদায় চরম আতংকে রয়েছে। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবু ধন তঞ্চচইগ্যা জানান, মুসলিম এবং চাকমার মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। আমিও তাদের ক্যাম্প করার পক্ষে মত দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক জানান, চাকমা পল্লীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প করার কোন সুযোগ নেই। এটা কিছুতেই হতে দেওয়া হবেনা। আজকের মধ্যেই পুলিশ এবং বন বিভাগের লোকজন দিয়ে উচ্ছেদ করা হবে। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: আলী কবির জানান, ক্ষমতাসীন দলের কিছু লোক ওখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্প স্থাপনের পায়তারা চালাচ্ছেন ঠিক। ইতিমধ্যে ২/৩শ পরিবার সেখানে অবস্থান নিয়েছে। বন বিভাগ ঐ ক্যাম্পটি উচ্ছেদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।#
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA

Comments

Post a Comment

Thanks for you comment