নিজস্ব প্রতিবেদক।। বান্দরবান বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের অভিযোগ বেড়েই চলেছে। ব্যবহারের বিপরীতে বাড়তি বিলের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতিদিন দেনদরবারও কম হচ্ছেনা স্থানীয় বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের দফতরে।
জানা যায়, এক গ্রাহকের বিল যাচ্ছে অপরজনের নামে, আবার কারো বা ব্যবহার না করেও দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত বিল। এসব কারণে পথে ঘাটেই বিদ্যুৎ বিভাগের কমকর্তা কমর্চারিদের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনাও এখন প্রতিদিন চোখে পড়ছে।
আজ (সোমবার) বেলা ১২ টা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সামনের সড়কে একদল গ্রাহক ঘিরে ধরে বিদ্যুৎ বিভাগের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসা কমকর্তা কমর্চারীদের।তারা এসময় জানতে চায় সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন জটিলতা সম্পর্কে।
এসময় সংবাদকর্মীদের কাছে পেয়ে নানা অভিযোগ-অসংগতি তুলে ধরেন তারা।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ক্যশিয়ার পদে নিযুক্ত আমিনুল হক অভিযোগ করে বলেন, অফিসের নামে প্রতি মাসেই বাড়তি বিল করা হচ্ছে।এখনো প্রায় ৫ হাজার ইউনিটের বাড়তি বিল আমাদের ওপর। গত কয়েক মাসে এই বিলের ব্যাপারে অভিযোগ করার পরও কোন সমাধান হয়নি।
তার ওপর আজ আবার শেষ তারিখে এসে বকেয়ার দায়ে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলো।একটি সরকারি অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ এভাবে বিচ্ছিন্ন করা দু:খজনক।
কুহালং এর বটথলি পাড়া থেকে আসা হানিফ সরকার নামের অপর গ্রাহক বলেন, আমার ব্যবহার করা মিটারের নম্বর ১৪৪৭৪৯৪৫ হলেও আমাকে ২১৪১১১২১৮ নম্বার মিটারের গ্রাহকের নামে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এসময় বিলের কপি পযর্বেক্ষণ করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া খুঁজে পান উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।
একই সময় শহরের ফিষ্ট রেস্তোরার সত্বাধিকারী শাহাদাত উর রহমান ক্ষুব্দ হয়ে বলেন, চলতি বছরের র্মাচ মাস থেকে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি।প্রতি মাসেই ব্যবহারের চাইতে বেশি বিল গুনে গুনে আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছি। এ পযর্ন্ত প্রায় ৩৫ হাজার টাকার বেশি অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে।অভিযোগ করেও সমাধান পাচ্ছি না।এরই মধ্যে আজ সকালে ওই বাড়তি বিল পরিশোধের নির্দিষ্ট সমযের আগেই আমার প্রতিষ্ঠানের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুত বিভাগ।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সহকারী প্রকৌশলী রেজওয়ান ফেরদাউসের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা উর্দ্ধতন কমকর্তার নির্দেশেই কাজ করছি। অভিযোগ থাকলে নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাতে বলেন তিনি।
একই সময়ে বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের অফিসের সামনেও অনেকে নানা অভিযোগ নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বলে খবর পাওয়া যায়। সংবাদকর্মীরা সেখানে গেলে গ্রাহকরা জানান, বিলে নানা প্রকার অসংগতির কথা। নান্নু সরকার নামে এক গ্রাহক বলেন, আমার মিটারে কয়েকমাস যাবত কোনো বিলই আসছে না, না জানি সামনে কি হয়! বলেন অভিযোগ নিয়ে আসা ওই গ্রাহক।
এসময় আরেক গ্রাহক আফসান করিম বলেন অফিসে এসে বিদ্যুতের ইউনিট লিখে দিয়েও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা।দেখা যায় পরের মাসে ব্যবহৃত বিলের সাথে ধার্য্যকৃত বিলের কোন মিল থাকে না। এসময় বিদ্যুৎ বিভাগের মনগড়া বিলে অতিষ্ঠ মানুষ এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
এদিকে এসব বিষয়ে জানতে র্দীঘক্ষন অপেক্ষায় থাকার পর নিজ অফিসে সাক্ষাত হয় বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী চিংহ্লা মং এর সাথে।
অভিযোগে বিষয়ে তিনি বলেন, অফিসে জনবল সংকট র্দীঘদিনের। উপজেলাগুলোতেও আবাসিক অফিস নেই।উপজেলার গ্রাহকদের টেকনিক্যাল সমস্যাও সদর থেকে গিয়ে সমাধান করতে হয়।সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় গ্রাহকদের বিলে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায়। কিন্তু অভিযোগ পেলে আমরা সেটি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করি।
মিটার রিডারদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিটারের রিডিং প্রস্তুত করতে গিয়ে কেউ দায়িত্ব অবহেলা করলে তাকে ছাড় দেওয়া হয় না। ইতিমধ্যে একজনকে সাময়িক বহিস্কারও করা হয়েছে।
এসময় তিনি যে কোন সমস্যার জন্য র্নিবাহী প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ করেন।
Source
অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চাইলে নিচে লিং এর সাইট থেকে রেজিস্ট্রেশ করে ইনকাম করুন https://www.bestchange.com/?p=367744
মজার মজার ভিডিও দেখতে নিচে লিংকের ক্লিপ করুণ
https://www.youtube.com/channel/UCDUgcFp1WTEUfSzViR9tozA
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment