সারোয়ার সুমন
শার্লী মেশৈ প্রু মার্মা। বান্দরবান সদরের পুরাতন চড়–ইপাড়ার সি টি প্রু ত্রিপুরা ও বারেক্যা মার্মার মেয়ে। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছেন মেশৈ। চার ছেলে ও চার মেয়েকে নিয়ে তখন তার মায়ের দিশেহারা অবস্থা। পরিবারে অভাব থাবা বসালে মেশৈকে দিয়ে দেওয়া হয় এতিমখানায়। জীবনের কঠিন রূপ দেখতে থাকেন তিনি।
জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়া নারীদের দেওয়া জয়িতা সম্মাননাও জিতেছেন শার্লী মেশৈ প্রু মার্মা। ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল তার হাতে এ সম্মাননা তুলে দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। বিরূপ পরিস্থিতিতে থেকেও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য এ সম্মাননা পান শার্লী মেশৈ প্রু মার্মা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, সেগুন গাছ দিয়েই পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তিনি। তার বাগানে অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। বাগান করার পাশাপাশি পোশাক তৈরি করে আড়ং, হ্যান্ডি ক্র্যাফটসহ বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানে বাজারজাত করছেন তিনি। বান্দরবান উইম্যান চেম্বারের পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করছেন মেশৈ।
তিনি সমকালকে বলেন, এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পেয়েছি পরিবারের লোকদের কাছেই। এক্ষেত্রে মা ও স্বামীর অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। ম্যা থিউ ও এনজেলা নামের দু'টি সন্তান রয়েছে শার্লীর। ম্যা থিউ পঞ্চম ও এনজেলা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
তবে আক্ষেপও রয়েছে মেশৈ মার্মার। তিনি বলেন, সরকার থেকে ১০ বা ২০ বছরের জন্য ঋণ পেলে বাগানটা আরও বড় করতে পারতাম। তাহলে নিজের তৈরি করা পোশাকের একটি শোরুম দেওয়ার স্বপ্নও পূরণ হতো। এখন ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও, তারা সেটা দীর্ঘমেয়াদে দিতে চায় না। আদিবাসীদের ঋণ দিতে অনেক নথিপত্রও চায়।
বান্দরবান উইম্যান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি লালচানি লুসাই বলেন, জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক নারীর নাম শার্লী মেশৈ প্রু মার্মা। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েও থমকে যাননি তিনি। বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতার কারণে তিনি এখন সফল।
তিনি সমকালকে বলেন, এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ পেয়েছি পরিবারের লোকদের কাছেই। এক্ষেত্রে মা ও স্বামীর অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি। ম্যা থিউ ও এনজেলা নামের দু'টি সন্তান রয়েছে শার্লীর। ম্যা থিউ পঞ্চম ও এনজেলা দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
তবে আক্ষেপও রয়েছে মেশৈ মার্মার। তিনি বলেন, সরকার থেকে ১০ বা ২০ বছরের জন্য ঋণ পেলে বাগানটা আরও বড় করতে পারতাম। তাহলে নিজের তৈরি করা পোশাকের একটি শোরুম দেওয়ার স্বপ্নও পূরণ হতো। এখন ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া গেলেও, তারা সেটা দীর্ঘমেয়াদে দিতে চায় না। আদিবাসীদের ঋণ দিতে অনেক নথিপত্রও চায়।
বান্দরবান উইম্যান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি লালচানি লুসাই বলেন, জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক নারীর নাম শার্লী মেশৈ প্রু মার্মা। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েও থমকে যাননি তিনি। বুদ্ধিমত্তা ও একাগ্রতার কারণে তিনি এখন সফল।
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment