- Get link
- X
- Other Apps
আদিবাসী বার্তা রিপোর্ট:
বাংলাদেশের বিচারিক আদালতের সর্বোচ্চ বিভাগ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২২ নভেম্বর ২০১৬ সালে প্রদানকৃত এক রায়ে ব্রিটিশ আমলে প্রবর্তিত ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত রেগুলেশনকে বৈধ আইন হিসেবে ঘোষণা প্রদান করেছেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এবং বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকের সমন্বয়ে গঠিত আপিল আদালত উক্ত রায় প্রদান করেন। অতিরিক্ত এটর্নি জেনেরাল মুরাদ রেজা ও সহকারী এটর্নি জেনেরাল প্রতিকার চাকমার শুনানি গ্রহণ শেষে মহামান্য আদালত উক্ত রায় ঘোষণা করেন। তবে আদালত এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করননি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সনের ৮ নং সিভিল আপিল মামলায় (Bangladesh v. Rangamati Food Products & Others) হাইকোর্ট বিভাগ পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশ বা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে ‘মৃত আইন’ (“dead law”) মর্মে ঘোষণা প্রদান করে একটি রায় প্রদান করেছিলেন। দীর্ঘদিন পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ উক্ত রায়কে বাতিল করল্নে এবং ১৯০০ সালের রেগুলেশনকে ‘বৈধ আইন’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করলেন।
২০০৮ সনের ১৪৭ নং সিভিল আপিল মামলায় (Wagachara Tea Estate v. Abu Taher & Others), ২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় প্রদান করতে গিয়ে যে মন্তব্য করেন তা নিচে তুলে ধরা হল-
‘‘১৯০০ সালের রেগুলেশন শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনি ও প্রশাসনিক মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখেনি, এটা পরোক্ষভাবে ভূমি, বন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কিত বহু প্রথাগত আইনকেও স্বীকৃতি দিয়েছে, যেগুলো অঞ্চলের আদি অধিবাসী(মূল লেখায় ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে) ও অন্যান্য নিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ।”
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে মহামান্য আদালত বৈধতা প্রদানের ফলে সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট আইন ব্যবস্থায় কী ধরণের প্রভাব ও ফলাফল বয়ে আনবে এ নিয়ে আইন বিশারদরাই বিশেষভাবে মত দিতে পারবেন। তবে সাদাচোখে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি অধিবাসী বা বিভিন্ন জাতিসত্তার জনগণের কাছে এই আইন তাদের স্বাতন্ত্রের স্বীকৃতির রক্ষাকবচ হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং প্রথাগত আইনী অধিকার চর্চার দিক থেকে এই আইনকে রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণ।
প্রতিবেদনে তথ্য ব্যবহার সংক্রান্ত কৃতজ্ঞতাঃ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় ফেসবুক স্ট্যাটাস
অতিরিক্ত এটর্নি জেনেরাল মুরাদ রেজা ও সহকারী এটর্নি জেনেরাল প্রতিকার চাকমার শুনানি গ্রহণ শেষে মহামান্য আদালত উক্ত রায় ঘোষণা করেন। তবে আদালত এখনো পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদান করননি। উল্লেখ্য, ২০০৮ সনের ৮ নং সিভিল আপিল মামলায় (Bangladesh v. Rangamati Food Products & Others) হাইকোর্ট বিভাগ পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশ বা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে ‘মৃত আইন’ (“dead law”) মর্মে ঘোষণা প্রদান করে একটি রায় প্রদান করেছিলেন। দীর্ঘদিন পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ উক্ত রায়কে বাতিল করল্নে এবং ১৯০০ সালের রেগুলেশনকে ‘বৈধ আইন’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করলেন।
২০০৮ সনের ১৪৭ নং সিভিল আপিল মামলায় (Wagachara Tea Estate v. Abu Taher & Others), ২ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রায় প্রদান করতে গিয়ে যে মন্তব্য করেন তা নিচে তুলে ধরা হল- ‘‘১৯০০ সালের রেগুলেশন শুধুমাত্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনি ও প্রশাসনিক মর্যাদাকে অক্ষুন্ন রাখেনি, এটা পরোক্ষভাবে ভূমি, বন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কিত বহু প্রথাগত আইনকেও স্বীকৃতি দিয়েছে, যেগুলো অঞ্চলের আদি অধিবাসী(মূল লেখায় ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে) ও অন্যান্য নিবাসীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রক্ষাকবচ।”
১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশনকে মহামান্য আদালত বৈধতা প্রদানের ফলে সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম সংশ্লিষ্ট আইন ব্যবস্থায় কী ধরণের প্রভাব ও ফলাফল বয়ে আনবে এ নিয়ে আইন বিশারদরাই বিশেষভাবে মত দিতে পারবেন। তবে সাদাচোখে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি অধিবাসী বা বিভিন্ন জাতিসত্তার জনগণের কাছে এই আইন তাদের স্বাতন্ত্রের স্বীকৃতির রক্ষাকবচ হিসেবেই বিবেচিত হয়ে থাকে।
বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে এবং প্রথাগত আইনী অধিকার চর্চার দিক থেকে এই আইনকে রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ জনগণ।
প্রতিবেদনে তথ্য ব্যবহার সংক্রান্ত কৃতজ্ঞতাঃ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায় ফেসবুক স্ট্যাটাস
Comments
Post a Comment
Thanks for you comment